2006 সালের মুম্বাই ভুয়ো এনকাউন্টার মামলায় প্রাক্তন পুলিশ অফিসার প্রদীপ শর্মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রাক্তন পুলিশ অফিসার প্রদীপ শর্মাকে 2006 সালের মুম্বাই জাল এনকাউন্টার মামলায় তার ভূমিকার জন্য যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। আদালত শর্মাকে লখন বায়া নামে পরিচিত রামনারায়ণ গুপ্ত নামে এক ব্যক্তির হত্যা, অপহরণ এবং ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী সাব্যস্ত করে।
এনকাউন্টারটি 11 নভেম্বর, 2006 তারিখে মুম্বাইয়ের ভারসোভা এলাকায় হয়েছিল, যেখানে শর্মা এবং তার দল দাবি করেছিল যে তারা গুপ্তাকে গুলি করার সময় আত্মরক্ষায় অভিনয় করছিল। যাইহোক, পরে তদন্তে জানা যায় যে গুপ্তাকে সন্ত্রাসী হিসাবে ফাঁস করার জন্য এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল।
ভুয়ো এনকাউন্টার মুম্বই শহরকে হতবাক করেছে এবং পুলিশের সততা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। শর্মা, যাকে একবার ব্যাজ অফিসার হিসাবে দেখানো হয়েছিল, তার পদক কেড়ে নেওয়া হয়েছিল এবং এই ঘটনায় তার ভূমিকার জন্য জনরোষের মুখোমুখি হয়েছিল।
শর্মাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ার আদালতের সিদ্ধান্ত একটি স্পষ্ট বার্তা পাঠায় যে কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, এমনকি ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিরাও নয়। এটি একটি অনুস্মারক হিসাবে কাজ করে যে ন্যায়বিচার জয়ী হবে, এটি যতই সময় নেয় না কেন।
2006 সালের মুম্বাই জাল এনকাউন্টার মামলার রায় ভারত দেশে ন্যায়বিচার বজায় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি ব্যক্তিদের তাদের সামাজিক অবস্থান বা পেশা নির্বিশেষে তাদের কর্মের জন্য দায়বদ্ধ রাখার গুরুত্ব তুলে ধরে। শর্মাকে দোষী সাব্যস্ত করার আদালতের সিদ্ধান্ত একটি বার্তা পাঠায় যে ভারতে দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার সহ্য করা হবে না।